ভূমি উন্নয়ন কর/ খাজনা:
যার নামে জমির রেকর্ড সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হয়। যে এলাকায় জমির অবস্থান সেই এলাকার ইউনিয়ন ভূমি অফিসে (তহসিল অফিস) ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হয়।
কেন ভূমি উন্নয়ন কর / খাজনা সময়মত পরিশোধ করবেন?
ভূমি উন্নয়ন কর প্রতি বছর পরিশোধ করতে হয়। পর পর দুই বছর ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ না করলে জমির মালিকের বিরুদ্ধে (পি.ডি.আর এ্যাক্টের আওতায়) সার্টিফিকেট কেস হবে। এই কেসে হারলে অর্থাৎ ভূমি উন্নয়ন কর না দিতে পারলে জমির অধিকার হারাবেন। ভূমি উন্নয়ন কর বাকী পড়লে জমি নিলামে তোলা হয়।
দলিল কিভাবে তল্লাশ করবেন?
যদি মূল দলিল থাকে- রেজিস্ট্রি অফিসে দলিলের রেজিস্ট্রি কার্যক্রম শেষ হলে মূল দলিলের শেষ পৃষ্টার উল্টোদিকে “দলিলটি কত সালের, কত নম্বর বালাম বইয়ের, কত পৃষ্ঠা থেকে কত পৃষ্ঠায় নকল করা হয়েছে” তা লিখে সাব-রেজিস্ট্রার কর্তৃক স্বাক্ষর করা হয়। এটা থেকে সহজেই রেজিস্ট্রি অফিসে থেকে দলিলের নকল উঠানো যায়।
মূল দলিল না থাকলে- রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল রেজিস্ট্রি শেষ হলে দলিলের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি তথ্য নিয়ে সূচিবহি তৈরি করা হয়। একটি সূচিবহি তৈরি হয় দলিলে উল্লিখিত জমির দাতা/বিক্রেতা, গ্রহিতা/ক্রেতা বা অন্য কোন পক্ষের নাম দিয়ে, আর একটি তৈরি হয় জমির মৌজার নাম দিয়ে।
জবরদখল কি, সম্পত্তি কেউ দখল করলে কি করবেন?
তামাদি আইন, ১৯০৮ এর প্রথম তফসিলের ১৪৪ নম্বর ক্রমিকে উল্লিখিত বিধানে এ মামলা করার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে বেদখল হওয়ার তারিখ থেকে ১২ বছর এবং এই ১২ বছরের মধ্যে আপনি সম্পত্তির দখল ফিরে পাবার জন্য মামলা না করলে ১২ বছর উত্তীর্ণ হওয়ার পর তামাদি আইন, ১৯০৮ এর ২৮ ধারার বিধান অনুসারে, ঐ সম্পত্তিতে আপনার অধিকার বিলুপ্ত হবে এবং জবরদখলকারীর দখল স্বত্ব বা মালিকানা অর্জিত হবে। তাই আপনাকে অবশ্যই নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই মামলা দায়ের করতে হবে।
কোন কোন ক্ষেত্রে গ্রামীণ শালিস–বৈঠক করে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হয়, যা একটি ভাল উদ্যোগ। কিন্তু গ্রামীণ–শালিস বৈঠকে প্রতিকার না পেলে কি করবেন? আপনাকে অবশ্যই একজন বিজ্ঞ আইনজীবীর মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে অবৈধ দখলকারীকে উচ্ছেদের জন্য দেওয়ানী আদালতে মামলা করতে হবে।